মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

সবকিছু শেষ হয়

সবকিছু শেষ হয়
সময় ব্যবধানে  স্রোতস্বিণী শুকায়
থু-থু জমে আড়ষ্ট হয় রতন বাউলের সুর
থামে দরদমাখা গান।

পৃথিবীর চিত্ত থামবে-থামবে করছে
ক্ষুধার পাষাণে আড়ষ্ট যখন চিত্ত
বিধর্ব নগরে দৈব কত কি কামনা
সদ্য জন্মানো ভূমিতে ফসল সয়লাবে।

পাথর সে ক্ষুদ্ধ অভিশাপে তপ্ত হয়
নগর হতে নাগরিতে জমে স্মৃতিকথণ
প্রবাল প্রহারে দিক-বিদিক ছুটে উত্তপ্ত শোধ
খড়-কুটরে আকড়ে যায় জীবনের সব বোধ।

জগত জানে, আমরাও জেনেছি
ক্ষয় হয় উর্বর সরোবরের, ফসলি জমির
ক্ষয় হয় সকল গল্পের, জন্মভূমির
শুধু হুঁশ বেচে মানুষ ফেরে আলো-আঁধারের দ্বিধা-দ্বন্ধে।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

কৌতুক

সময়ের আবর্তে কোনো দৃড় সাবলিল চরিত্র যদি ভেঙ্গে দূর্বল প্রসহণ চরিত্রে রুপ নেয়; তবে সেই প্রহসণ চরিত্রটিই হয় একটা কৌতুক....

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

লুকিয়ে রাখ

চোখের সামনে থাকলে যদি এত হিংসে হয়
লুকিয়ে রাখ হীয়ার মাঝে, হইয়া সদয়।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪

আমি মানুষ হতে পারলাম না


না, আমি মানুষ হতে পারলাম না!!! 
আদিম পুরুষের আদ্যপৃষ্ঠে মোড়ানো খোলস ফেলে-

বাঁচতে মানবসমাজের ধূলি অকারণ গায়ে মাখলাম
মানুষবেশে ঘুরলাম, জানলাম, দেখলাম, বুজলাম
আজীবন অকারণ বিসর্জনে নোনাফেনায় ডুবলাম
তবু; কোথাও মানুষ হবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ঘুছাতে পারলাম না
আমি মানুষ হতে পারলাম না।

চেনারূপ দেখে আমি মানুষের সাথে বসত পেতেছি
জীবনসংগীত আসরে মানুষরূপে মনুষ্যত্বের গান গেয়েছি
চেনা-অচেনা, জন-কূজন সবার সুরে হেসেছি, ভেবেছি
তবু; লোভের নেশায় হিংস্রজন্তুর ন্যায় আচরণ আমার থামল না
আমি মানুষ হতে পারলাম না।

আমি মাতোয়ারা, আলো-আঁধারের স্বার্থ নিজের করে নিতে
আমি লালসায় রমনীর ঠোঁট চুমি; না পেরে নিজেকে দমাতে
ধর্মসংঘাতে নিক্তির মাপে সুক্ষ্ণ মেপে পায়ে ঠেলি পথে চলতে
তবু; মানবতার আর ধর্মাধর্মের সংঘর্ষে এ আমার হুঁশ ফিরল না
আমি মানুষ হতে পারলাম না।

হাত-পায়ের নখ দিন-দিন বড় হয় আমি হই আগ্রাসী
ধারালো দাঁতে লৌহদন্ড কড়মড় করে মিহি করতে চেয়েছি, 
হুঁশ হারিয়ে ব্যর্থ আমি মানুষের মুখোশ পড়ে ফের ফিরেছি
তবু; বঞ্চিতের ভাবনায় রুক্ষ আমার আমিকে দমাতে পারলাম না
আমি মানুষ হতে পারলাম না।

দুঃখিত; আমি মানুষের ভীড়ে মানুষ হতে পারলাম না।

বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৪

চেতনার বিকাশ

জীবনকে জীবন দিয়ে বুঝতে হয়, চেতনা দিয়ে জানতে হয়। যার মধ্যে চেতনার বিকাশ শুধু নিজেকে জড়িয়ে, সে সব ক্ষেত্রে অল্পকে বিস্তর আর বিস্তরকে অল্পে তুল্য করে।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৪

পূর্ণত্রীর প্রতি শেষবাক


পূর্ণত্রী;
তোমার জীবনের প্রয়োজন সে তোমার!
তাই শেষ বাক্যবাণে পূর্ণবাক্যে শেখালে পদ‘ব্যবহার-
আমিও জানলাম কাজ বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বণাম, অব্যয় আর ক্রিয়ার,
তাই শেষ প্রতিক্রিয়াটুকুও অবাধ্যচিত্তে জানাচ্ছি; শোন-

ধর্মের লেবাসধারী


ধর্মের লেবাসধারী‘রা নিজের বিবেকটাকেও প্রয়োজনে বিকিয়ে দেয়, বড় আজব সব মানুষের সাথে বসবাস আর চলাফেরা করতে হচ্ছে। এসব দলের লোকজনদের সাথে কথা বলে, নিয়মিত তাদের সাথে চলাফেরা করে আজব সব ভাবনা বয়ে যাচ্ছি।
সত্যি জীবনকে নিয়ে এদের ভাবনা কি?
যারা মানুষকে মানুষ জ্ঞান করতে শেখে না, যারা নিজের চেতনার বিপক্ষে গেলেই তাকে ঘিরে কুৎসা রটাতে থাকে, যারা অন্যকে নিজের পথে চালানো জোর আহ্বান চালায়, যেখানে যাকে আহ্বান করে তার মন বা স্বরূপ কি অথবা তার আহ্বানটুকু ঐ ব্যক্তিসত্ত্বার নিকট কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভাবে না।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪

প্রসঙ্গ বাংলাদেশ ও বন্ধুদের জুড়িয়ে দেয়া আমার ভারতীয় মামুরা


বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক কিংবা অসাম্প্রদায়িক সে বিষয়ে না গিয়ে আমি হিন্দুদের উপর সংঘটিত বিরাজমান প্রসঙ্গ নিয়ে আমার কিছু মতামত পোষণ করছি। বাংলাদেশ পাকিস্থান থেকে স্বাধীনদেশে পরিণত হবার ক্ষেত্রে ভারতীয় মদদ ছিল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে। সে সময়কার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় সাহায্য-সহযোগিতা আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করলেও এদেশের ইসলাম সম্প্রদায়ের বেশীরভাগ মানুষই এটাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে নি। সামাজিক জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে ভিন্নধর্মমতালম্বিদের মধ্যে স্নেহ-মমতার বন্ধন গড়ে উঠলেও, এই মেনে না নেবার ধরুন এদেশে মানুষের বেশীরভাগেরই ঘৃণা জমে ছিল ভারতীয়দের প্রতি, যার কারণে জামায়তি ইসলাম এদেশের স্বাধীনতার বিরোধীপক্ষ হয়েও এদেশের মানুষের রক্তে পূণঃবার সঞ্চালিত হতে সমর্থ হয়েছে শুধুমাত্র ছাতুরময় ধর্মীয় মতবাদ পোষনের মাধ্যমে, এদেশের মানুষকে তারা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে ভারত বাংলাদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তারা সুযোগ পেলেই বাংলাদেশকে ভাগিয়ে নেবে।

কল্পনা ক্ষমতা

মানুষের কল্পনা প্রসূত ক্ষমতা সহায়তা করে সবচেয়ে বেশী যৌন আগ্রহ মেটাতে।

হার

কবি-সাহিত্যিক‘রা বোধহয় বড় বেশী সৌখিন!!! তাই অন্যের অভাব-অভিযোগ কিংবা মুক্তির জন্য লড়াই করলেও, বেশীরভাগ কবি-সাহিত্যিক‘রা অভাবের কাছে বার-বার হেরে যায়।

শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪

রাজনীতি আর সুশিলনীতির মধ্যেকার জ্ঞানের পার্থক্য


আমাদের দেশের রাজনীতি আর সুশিলনীতির মধ্যেকার জ্ঞানের পার্থক্য জানার জন্য পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা নিচ্ছেন দেশের বিজ্ঞেরদল।
তো পরীক্ষায় বিজ্ঞজন বসে আছেন পার্থক্য নিরূপণে আর আম-জনতা উদগ্রীব হয়ে বসে আছে পরীক্ষার ফলাফল দেখতে।

বিজ্ঞ‘জনারা উভয়কে ১-২০ এর নামতা বলতে বলল-

কি ভুখে

জীবনগহ্বরে পিপড়ার দু‘চোয়ালে
চিমটি দেয়া
ক্ষনিকের যে মধুর সুখ,
সে সুখে অধরে ললনাকে
ঠাঁই দেবার বাসনা জাগে।

কি ভুখে এই আমার
স্নায়ুযুদ্ধ যাতনা,
নীলসাগরের ঢেঁউ বুঝে
সাঁতারে ডুবায়?

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৪

স্নিগ্ধ

স্নিগ্ধ তোমায় বারাসনে ডাকি সৃজণ
গোপণে যে ব্যথিছে তাহারে
পদভার তার, করে আপনার
কর তাহরে আপণ
আর নহে কর গোপন।

বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৪

থাক মা তুমি সয়ে


ওগো মাটি মা; স্বাদের সেতারায় সুর দিতে বল
করূণসুরে বেজে হই, শেষ একবার অঙ্গার
ও‘ঘরে আমার ঠাকুর পুড়ে অমানবিক চিৎকারে
আমি বাকরূদ্ধ হতে চেয়েও, থামাতে পারি না চিৎকার।

সিঁথির সিদুর যায় মুছে আজ, মুছে যায় আমার হাতের শাখ
এ‘জীবন তীথিয়া কি আর ভাসিব ভালো, কোথায় ঠেকিবে জীবন বাঁক!

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৪

ধরা‘র অবসর

সূর্য্য‘টাকে গিলে নিয়ে যার জন্ম
উদাসিন চাঁদে কৃষ্ণ প্রহার আলোর
তারার মিছিলে নক্ষত্র ক্ষয়ে খসে
পর্বত্র প্রবালে নামে কালোর প্রহর।

ধীরধীবরে কাল ক্ষয়ে হয় ভোর
ধ্বংস-যজ্ঞের প্রলয় পথে ঘর,
বিরস জন্মে সূর্য্য দেয়না আলো
রূদ্ধশ্বাসে ধরা‘র মাঝে নামে অবসর।