অযাচিত ভাবনারাও একদিন মুখ থুবড়ে পথে পড়ে, তখন জীবনপথের আসক্ত বাসনাটুকু আর থাকে না। পূর্ণচাঁদে গ্রহণদিলে যেখানে শুক্লপক্ষের জোৎস্না ম্লাণ হয়, জীবনজোৎস্না চাঁদহীন গ্রহণে সেখানে ম্লাণ হবার মত কি খুঁজবে?
জীবন
থেকে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে চলে যাবে, কেননা জীবন যে বড়ই সঙ্গীন। ভালোবাসা
জনে-জনে ভিন্ন হয় দিনে-দিনে গাঢ় হয়। কিন্তু একি? গাঢ় ভালোবাসার যে এখন
গলনাংক কমে যাচ্ছে আর দিনকে-দিন তা শূণ্যের কৌঠায় পৌঁছে যাচ্ছে। আচ্ছা
ভালোবাসার গলনাংক যখন শূণ্যে গিয়ে দাঁড়াবে তখন কি মানুষ ভালোবাসায় এঁটে
যাবে? মানে- সবকিছু একত্রে জড়ো হয়ে যাবে?
গরীবের দায়ভারটা শুধুই পেটের, তাই পেটের জন্য শয্যা পাততে যেমন তাদের দ্বীধা নেই, রাত-দিন মল ছাটতেও তাঁদের ঘৃণা নেই। শত্রুর একটুখানী স্বার্থণ্বেষী সহানুভূতিও তাদের আবেগ কেড়ে নেয়। বাঙ্গালি জাতি আজীবন গরীব, গরীব জীবন-যাপনে, গরীব কার্য্যকরনে; মণণে। নিজের বলা এই কথাগুলোয় আমি নিজেই লজ্জায় ডুবে মরি, তবু সত্যটাকে অস্বীকার করতে পারি না বলে, অকপটে তা বলতে পিছ‘পা হই না।
অথচ নারীর বুকে জেগে উঠা ঐ মাংসপিন্ডটুকুই নাকি নিসাড়-নির্জীব পুরুষকেও সজিব করে তোলে যারা সমাজের কথা বলে; রাষ্ট্রের কথা বলে; বলে সম-অধিকারের কথা অথচ বুকের উপর পোথিত ঐ মাংসপিন্ডটুকুর মোহতায় তারা কামনার ঢেঁকুরে অস্থির হয়ে পড়ে চিৎকার তুলে আহা; এ‘যে কাপড় তুলে সব উন্মুক্ত করে দিলে বাতাসের ঘুর্ণি‘যে ঐ ছুটছে, দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাও হে...