বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

সুখের বারতা

এ‘দেহ তো মেলে দিতেই হয়
না হলে চিত্তের বেগ কবে কোথায়?
আদর-মমতা-প্রেম-পরিজাত মিলে কিসে?

সুন্দর ফুল হয়ে ফোঁটে, আগরে মিশে ঘ্রাণ
নদীরকুলে বুক কাঁপলে বরং ঝরনারধারে যাও
দেখবে শিরশির সুখে কেমন ভরে বুক...

এ আমাদের জীবনখেঁয়া দেহ বিছাবার
দেহ কিনারায় কেউ পাতে, কেউ মাতে
কারো রৌদ্দুর বেলায় দেহ ঘামে আর
বর্ষনবেলায় দেহ ঢেলে দ্যৌলে সুখের বারতা।

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

ভালোবাসার দুখ

প্রজাপতি, সেদিন তুমি লুকিয়েছ চোখের অশ্রু
বুঝেছ নির্মোহ ভালোবাসা সে তোমার একা
আমি গোপনে তোমার অনুরাগ দেখেছি
বইয়ে অশ্রুধারায় আমার অনুযোগের নৌকা।

হে পৃথিবী...

হে পৃথিবী;
যদি নষ্ট হবার পথ হয় গগণসম
তবে পাপিষ্ট কেন আমি শুদ্ধজনে ?
আকাশের নীলে যদি সাদা আর কালো মেঘের সংমিশ্রন ঘটে নিয়ত
তবে অজ্ঞতা কেন আমার মনে ?
পৃথিবীর শুভ্রতা ছেড়ে, আমিই কি শুধু কুয়াশার ঘোরে পথ হাঁটি ?
আমার কাছেই কি শুধু দিন রাত্রি ?

ভালোবাসার আটাশ বর্ষন ও স্মৃতির বেদন

সে বর্ষনের একদিন, অঝরে ঝরছিল বৃষ্টি। রাস্তার ধারে ছিটানো শুকনো খড়গুলো ভীজে সিক্ত হচ্ছিল। জাম্বুরা দুলছিল বাতাসের তালে-তালে। হঠাৎ দেখতে পেলাম তাকে…….
আষাঢ়ের সে বৃষ্টিতে তাকে দেখলাম সিক্ত বসনে। সেদিন অচেনা মনে হানা দিয়েছিল সে। মনের দুয়ার খুলে তাই তার পিছু নেওয়া, অবশেষে মনের দুয়ারে তার পর্দাপন, তার প্রেমের শীতলধারায় হারিয়ে যাওয়া জীবনে।
পরিনয়টা হলো দু’বর্ষন পর। তার হাত ধরে এগিয়ে চলল আমার প্রেমতরী। সেদিল উল্লাসে মন বলেছিল……..

জোৎস্নার আলোয় সমূদ্র স্নান

[ সমূদ্র ভ্রমন! সমূদ্র স্নান! সেতো আর নতুন কিছু নয়, সমূদ্রতটে ভ্রমণবিলাসী হাজার জন হয়। এদের মধ্যে তবু কেউ ব্যতিক্রম, আমার এ গল্পকাব্য তেমনি এক চয়ন।]

সমূদ্রবিহারে শৃঙ্খলহারা কপোত-কপোতি, ওরা প্রাণের টানে এই অদূর দূরে সমূদ্র মন্থণে, ভাবোল্লাসে।

হৃদয় উন্মদনায় এই জোৎস্না ভরা রাতে, দুটি মনের কথা একসাথে নির্জন, নিরালায়। প্রাণের কথা চলে প্রাণে, বাতাসের শিহরিত সঞ্চালনে ধ্বনিত হয় শুধু প্রাণের অশেষে বলা কথাগুলো।

অনেক ইচ্ছে ছিলো জান!
তোমাকে নিয়ে সমূদ্র স্নানে নামব জোৎস্না রাতে
এলিয়ে চুল হারাব নয়ণ, তোমার নয়ণ প্রাতেঃ।
হারিয়ে যাব চাঁদের গায়ে, আলোয় মুড়িয়ে দেহ
শুধু তুমি আমি একসাথে, রবে না আর কেহ।

প্রতিউত্তর আসে-

স্বপ্ন আমারও ছিলো! তোমার হাত ধরে
চলব জোৎস্না রাতে আলোর কৌঠরে
মাখব গায়ে জোৎস্নার আলো, হব একাকার
গাইব হেমন্তের সুরে “এই রাত তোমার আমার”।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪

জ্যোৎস্না ভেজা রাত

জ্যোৎস্না ভেজা রাত। দু’টি মন ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে। অলক্ষ্য চারিদার, শুধু দু’জনার মন দু’জনায় হারাচ্ছে। নিচ্ছল দেহ, রুদ্ধপ্রাণ, মনের আলিঙ্গনে প্রাণের অশেষে বলে চলা হৃদয়ের যতকথা-

ওগো বসন্তরাগী, আজি এই উত্তাল বসন্তে এলে
এতদিন কোথায় ছিলে?

প্রাণের অশেষে আরোকটি প্রাণ রচে-

ছিলেম সীমাহীন প্রান্তরে, খুঁজে ধারে-ধারে
তোমার কামনায়।

নিরব-নিস্থুপ কিছুক্ষন, এ‘যেন বিস্তৃতির প্রসারণ, স্বপ্নলোকের পরতে। আবেশ রচে, মনের তৃয়াষে, নব বাচ্যতে-

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

বৈশেখে আহ্বান

আজ গাহি নবদহণের গান
করি বৈশেখে আহ্বান।
ফুলে-ফলে-বাতাসে মধুকরি মৌ-মৌ
নবচিত্তে গাহি হৃদ্দের গান
করি বৈশেখে আহ্বান।

জানি মেঘালয় আজ থমকে গেছে
জরা-ব্যাধি-শোকে
জানি দহণে আজ অতৃপ্ত সুখ
জীবনে জীবন ধুকে।
তবু; উড়ো পাখির মত উড়ে-উড়ে করি
নব জীবনের জয়গান
ধরিত্রীর বুকে নেমে আসুক সুখ
করি বৈশেখে আহ্বান।

জীবন থেকে শিক্ষা-০১

প্রতিদিনকার মত আজও ফার্মগেইট দাঁড়িয়ে আছি গাড়ীর আশায়। গাড়ীতে লোকের ভীড় সে নিত্যদিনকার, তাই ভীড় ঠেলে যাওয়া-আশাই আমাদের নিত্যদিনকার নিয়তি। মাঝে-মাঝে যখন ভীড় ঠেলতে হচ্ছে হয় না, সেদিন অবসন্ন মুখেই রৌদে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়ে। আমজনতার জ্যাম গাড়ী হলেও স্টাফবাস নামকার সরকারী বাস প্রতিদিনই প্রায় ফাঁকা যেতে দেখি, চাইলেই তারা আমাদের আমজনতার মুষ্টিমেয় লোক টেনে নিতে পারে কিন্তু তা তাদের সামার্থ্যের মধ্যে নয় বলেই বোধহয় আমজনতার কষ্টেও তাদের সমূহ দৃষ্টি অনিবার্য নয়। যা হোক; প্রতিদিনকার মতোই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটা মাইক্রো এসে সামনে দাঁড়াল, দেখলাম লেখা আছে শিল্প ও সংষ্কৃত মন্ত্রণালয়। হ্যাঁ; গাড়ী দাঁড়াতেই পারে, কারণ তাদের স্টাফ‘রা বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়ীতে ওঠে, হয়ত কোন স্টাফ উঠবে বলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু না, কিছুটা হতবাক করে দিয়ে ড্রাইভার আমার মতো আমজনতাকে আহ্বান করল; আমরা কেউ পল্টন বা দৈনিকবাংলা যাব কিনা। আমি পল্টন যাব, তাই ড্রাইভারের আহ্বানে জানতে চাইলাম ভাড়া কত দিতে হবে? কারণ, আমি আমজনতার পকেটও যে হিসেবের। ড্রাইবার কিছুটা হতবাক করে বলল; আপনারা যা দেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ড্রাইবারের অভয় পেয়ে উঠে পড়লাম ড্রাইভারের পাশের সিটটায়। পেছনে তাকালাম দেখলাম দু‘জন সরকারী কর্মকর্তা, যাদের জন্য হয়ত এই গাড়ী বরাদ্ধ। দু‘জনের একজন লেফটপে কি যেন করছেন, অন্যজন দেখে-দেখে গল্প করছেন। যাই হোক আমরা পাঁচ আমজনতা তাদের অনুগ্রহে সরকারী মাইক্রোতে ওঠার সৌভাগ্য লাভ করলাম।

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

নির্লজ্জতা

নারীর গায়ে হাত তোলা‘টাই একপ্রকার নির্লজ্জতা, কাপুরুষের দল নিজেকে দমাতে না পেরে দূর্বল নারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

জীবনের শিক্ষা

জীবনের প্রতি পদক্ষেপে এক-একটা ধ্বাক্কা এক-একটা নতুন জীবনের জন্ম দেয়, নতুন করে ভাবতে শেখায়, শেখায় নতুন করে জাগতিক সকল সৌন্দর্য্যকে ছুঁয়ে দেখতে, ভালোবাসতে।

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৪

প্রেম

দেহবৃন্তে সুদকষা সুদে প্রণয়কাতুর গৌরবের দন্ডে দন্ডিত যে হেম, তাহাই প্রেম।

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪

বান্ধবসহ লক্ষ-লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে কি সরকার, দেশ, দিনকে-দিন আত্মহণনের পথ বেচে নেবার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে!

২০০৯ সালে প্রি-গ্র্যাজুয়েট (B. Sc) শেষ করার পর লেখাপড়া আর কন্টিনিউ করা হয় নি। কারণ‘টা যে শুধু মধ্যবিত্তিয় আর্থিক টান-পৌঁড়ন তা নয়, লেখাপড়ার নিয়ে ভবিষ্যত ভাবনাও লেখাপড়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে কার্য্যত ভূমিকা রেখেছে। সত্য বলতে কি; যে লেখাপড়া জীবনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করতে সক্ষম নয় তা কন্টিনিউ করে কি হবে? এমন ভাবনা অহরহ নিজেকে বিচলিত করে তোলে।

ছোট্ট মধুর সংসার

মন মন্দিরে যে ঘন্টা বাঁধা আছে
বাতাসের হিল্লোলে সে দ্যৌলে; কিন্তু বাজে না...
ভালোবাসার ভাবণায় জনে-জনে যাই
যা পাই ভালোলাগা সে, ভালোবাসা হয় না।

চৈত্রের সে দিনেও বসন্ত ছিল
কিন্তু বলা হয়নি কিছু; যা হবার কথা...
মধুর কাননে মধুকরী‘রা বিলিয়েছে মধু
পেয়েছে তারা, বাস যাদের যেথা।

আমি বৈশাখে যেমন ছিলাম,
মাঘেও তেমন, কাটে দিন তেমন ফাল্গুণে...
ডালে-ডালে ফুল, ফুটে মনোহর
দেখে-দেখে মন ছুটে অগ্রহায়ণে।

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

লোভ

লোভে পড়ে কুকুর মল খায়
লোভে পড়ে মানুষ মাণবতা খোড়ায়।

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

গানঃ আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো - ভিডিও

আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো, তোমারি নয়ন লুটে।।
বাদল বরষায় দেখেছি তোমারে, চলেছ ভেজা পথে
তোমারি নয়ন লুটে।

এইযে, আমার সীমানা পেরিয়ে আলো, ছড়িয়ে গেছে হৃদমিনারে তোমারে বাসিতে ভালো
ছ্ল-ছ্ল উত্তল বরষা…… তোমারি আশায়, যাবো দূর পথে হেঁটে
তোমারি নয়ন লুটে।