রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এই আমার ভেতরের আমি

মানুষের মন বড় বিচিত্র আর অস্থির।
তাই কি?
ঠিক বেঠিক জানি না, তবে আমার মতো করে পৃথিবীকে চিন্তা করি বলে আমার কাছে তাই মনে হয়। তাই এই আমি-

কখন কখন ভাবুক হয়ে যাই। ভেবে চলি- কিছু নিয়ে গবেষনা করে দুনিয়াকে চমকে দেব! আরে না না বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাবে সমস্ত বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ঠিক এমন একটা কাজ করে তাক লাগিয়ে দেব!

কখনো আবার রক্তের টান পড়ে, ছুটে যাই সে চিন্তায়। ভাবী কত কর্তব্য পড়ে আছে। আমার নিয়ে যে যা ভাবুক, আমার জন্য কেউ কিছু করুক বা না করুক, সবাইকে টেনে তুলব একে-একে। সবাইকে বুঝাবো এভাবে টান-পৌড়ন, ঝগড়া-ঝাটিতে সুখ নেই। আমাদের দেহে একই রক্ত, তবে কেন বুঝতে পার না আবেগ-অনুভূতি। ফিরে এস!! আমরা সমস্ত বিভেদ ভূলে একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হই।

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নিষ্কৃতি ও জিজ্ঞাসা

বর্ণচোরা; যতবার হাত বাড়িয়েছে
ততবারই করে গেছে এ দেহে কারবার
আমি ধরতে পারি, বরাবরই ধরতে পারি
কিন্তু ততক্ষনে সে নেই।
আমারও অবস্থা নেই
আগের মতো পথে দাঁড়াবার!
বটতলার সন্ন্যাসী
সে সাঁঝ হলে কোথায় ফিরে যায়
পথের ভিখারী

দোহাই

দেবার মতো নেই যে কিছু, 
শূণ্য আমি ধরা তলে
বাসনা তোমার পূর্ণ চাঁদ, 
নেমেছ সুখে অতল জলে।

আমার নাই যে কিছু নাই, 
আমার ভেতর তোমার ছায়া আঁধারে লুকাই
তোমার পথ জ্যোৎস্নার আলোয়, 
যাও সে পথে দেই দোহাই।

বুঝ

ছেড়ে দেবার মত শূণ্য এ‘ঘর, নির্ঘুম আঁধার
আকাশ-বাতাস-রাত মর্ত্ত হয় মাদকতায় 
অনন্ত যৌবণ ঘিরে কেবল শূণ্য হাহাকার।

ওপাড়ের ষোড়সী বালিকা, সেও বুঝে উঠে না,
সাত-সকালে ফুল তুলতে তারও মনে আসে
কার আশায় ফুল তোলা? কার আশায় গাঁথা মালা?
অথবা কার তরে হৃদয় জড়িয়ে পড়ে ফাঁসে।

বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে

এলাকায় একপরিচিত- তাকে আমরা কাকা বলেই সম্মোদন করি।
কাকা সিদ্ধপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর ভক্ত। 
তো হয়েছে কি, একদিন লোকনাথ মন্দিরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর আর্বিভাব তীথি কিংবা তীরোধান তীথির অনুষ্ঠান চলছে (স্পষ্ট মনে নেই)।
হঠাৎ কাকা শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর মন্দিরের সামনে ষষ্টাঙ্গ প্রণাম করে আবেগকাতুর হয়ে পড়লেন। আবেগঘন কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন- বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে। দে বাবা, দে..... 

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার চিন্তায় সমাজের পচন ঘাত সৃষ্টির কারণ

চলতে পৃথিবীতে কিছু-কিছু চাহিদার বাস্তবিক প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেহ-কেহ তা করে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য, অন্যের পেটে লাথি মেরে নিজের অবস্থান সুস্থির করার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। সাথে বংশবৃদ্ধি কিংবা সমাজ-সংষ্কৃতি রক্ষায় জরুরী সমাজ-সংসারের। অথাৎ একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চাহিদাগুলো অপরিহার্য। যদি তা হয় তবে এর ব্যতীত আমরা যা কিছু চাই তার প্রয়োজন কতটা? আর এর ব্যতীত অন্যকিছু প্রয়োজন অনুভব কি অস্বাভাবিক জীবন?

আমার মতে মৌলিক চাহিদা কিংবা স্বাভাবিক সংসারজীবন ব্যতীত মানুষের যে কোন চাওয়ার পিছনের যে কারণ তা হল তার মধ্যেকার অস্বাভাবিক আচারণের তাড়না। আর এই অস্বাভাবিক তাড়নাই মানুষের পাশবিক তাড়নাকে প্রগাঢ় করে। এখানে অস্বাভাবিক তাড়না তখনই অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদার বাহিরেও সবকিছুর অঢেল মজুত থাকে।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত, তবে পৃথিবীর প্রতিটি পদক্ষেপ দূষ্কর ঠেকত।

জীবনের কিছু-কিছু মুহূর্ত জীবনকে এতটাই বিষিয়ে তোলে যে, প্রিয়জনদের ঘিরে অনেক অপ্রিয় গরল অনিচ্ছায় বেরিয়ে পড়ে কিন্তু গরল উগঢে গিয়ে মন যখন স্থির হয়, তখন মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হৃদয়ে জমে থাকা আকুতিগুলো আরও ব্যকুল হয়। অনুশোচনাবোধে ক্ষমাযোগ্য হৃদয়ের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।

জীবনের প্রতিটি ধাপে বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, না হলে চলার পিচ্ছিল পথে পড়ে দেহের প্রতিটা পাঁজর ভেঙ্গে চূর্ণ হতে পারে। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ যাই থাকুক না কেন- প্রিয়জনদের মনকে বুঝতে সচেষ্ট হওয়া খুব প্রয়োজন, নচেৎ সামান্য হোঁচটও জীবনের জন্য কঠিন সময় বেঁধে দিতে পারে।

স্বার্থের পৃথিবীতে

ঠিক কিছুই বোধে আসে না;
কি করে চিবুক এত জমে
কি করে জীবন যায় থেমে!

লিখেছি ছায়াপথে হেঁটে চলার গল্প
নিষ্কৃতি মেলে নি
মঞ্চে করেছি জীবননাট্যের মঞ্চস্থ
স্বীকৃতি আসে নি।

শুধু ভাবি; কোথায় উদরে রাখা পিতা! 
কোথায় হারিয়েছে মমতাময়ী মাতা?
ছায়াপথে একে-একে হারায় পাড়া-পড়শি,
জীবনের গল্পে সবাই থাকে, তবু সারাক্ষন নিঃসঙ্গ উদাসী

স্বার্থের পৃথিবীতে রক্তের টানও ছিড়ে ছুটে বার-বার অধরায়।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অভিমান

চলে যাব;
শৈশব গেছে, কৈশর গেছে, ধীরে-ধীবরে যৌবণও সে যায়
অথচ খড়-কুটেতে আটকে থাকা শরীর চিতলে শীতল হয়!
তাই বলে ভেবো না- চিতলে দাঁড়কাক দাঁড়াবে বিনা অনাদরে।

লক্ষ তাঁরারা ডুবে যায় মাঘের পূর্ণিমার জ্যোৎস্না স্নানে এসে
গোপণ শশীকিরণ পৌঁছে কাঁধ-জোড়াল বয়ে যুবকের ধমনীতে
ডুবে মর্ত্ত হওয়া প্রেমের পালে হাওয়া ধরা তেরটি প্রেমের আখ্যান
অথচ সলিল গল্পে জমে থাকে কত-কত ভুতূড়ে সমীক্ষা।

এ কি মনুষ্য জীবন?

প্রত্যেকটি দেশের মানুষ রাজধানী বা বড়-বড় শহরগুলোতে বসবাস করে বাড়তি নাগরিক সুবিধার জন্য। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা জীবনযাপনে একটু আরাম আয়েশের জন্যে। অথচ আমরা আমাদের রাজধানীতে বসবাস করছি একান্ত ঠেকায় পড়ে। রাজধানীতে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের নাগরিকবোধ জাগ্রত হবার বধৌলতে দিনকে-দিন আরো থমকে যাচ্ছে। মানুষ পরকালের ভয় দেখায়- বলে ওখানে নাকি বড় যাতনা-যন্ত্রণা নির্মম জায়গা। অথচ রাজধানী জীবনে যে নির্মমতার মুখোমুখি হচ্ছি এরচেয়ে সে যন্ত্রণা আসলে কতটা বেশী এখনও তা বোধগম্য নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি- জীবনটা বড় বেশী দূর্সহ ঠেকছে। না খাওয়ায় শান্তি, না চলায় শান্তি, না বসতে শান্তি, না উঠতে শান্তি, না ঘুমাতে শান্তি, না জাগরণে শান্তি। সবস্থানে শান্তিদের কতটা অসহায় অবস্থান তা বলাই বাহুল্য।

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

মানুষ স্বার্থপর

“ঝিনুকের বুকে মুক্তো থাকে”
আকর্ষিত এই মুক্তোর জন্য ঝিনুকের দেহ ছেদ করতে মানব হৃদয়ে কোন কার্পণ্য নেই।
“সাপের মাথায় মনি থাকে”
অমূল্য এই মণি‘র জন্য সাপের পাগলের মতো ছুটাছুটিতে মানব হৃদয়ে সহমর্মিতা নেই।
বরং ছল্-ছল্ চোখ পরিপূর্ণ হয় মোহ-কামনায়। কেননা মানুষের চোখে যা অমূল্য বা আকর্ষিত, তার জন্য অন্যের জীবন এতটা অর্থপূর্ণ নয়। বরং মানুষের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষটাই মূখ্য সর্বত্র।

হ্যাঁ; মানুষ কেবল আপনাতে ছুটে, আপনাকে প্রশ্রয় দেয়। শুধু আপনার সুখ-সাচ্ছন্দের নেশায় মগ্ন থাকে। জীবনের বিবিধ প্রয়োজনে সে প্রথমে তার পরিবারকে টানে, আরো প্রয়োজনে নিজ জাতিগোষ্ঠীকে টানে, উপলক্ষ্যে সে সমাজকে টানে, জন্মটানে দেশকে টানে, জ্ঞানের বিশ্লষনে পৃথিবীকে টানে।
কিন্তু সবছাপিয়ে এ সবচেয়ে বড় সত্য হয়ে সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ায়- নিজের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষ পূর্ণ করতে বেশীরভাগের কাছেই অন্যের জীবনের আপাত কোন গুরুত্ব বহন করে না।

প্রয়োজন পড়ে ত ঘায়েল কর

প্রয়োজন পড়ে ত ঘায়েল কর পাছে!
এই ত বেলা পড়ে এল-
আগে ভোরগুলোতে সাগরপাড় ঘুরে শঙ্খ মিলত
এখন তারা ক্লান্তির হাত ধরে চলে যায়।

বোধ আমার হল না- হলে পড়ন্তবেলায়
এতটুকু পদছায়ায় বেহাল হত না সুরের সতীন বেহালা
নাট্যশালায় মূর্চ্ছা যেত না ধ্রুপদী কাব্যধারা
অথবা অসময়ে অঙ্কুর বাঁধত না খরচে বেলার লুপ্তবোধ।

মানুষের মানুষিকতা

মানুষের মানুষিকতাই মানুষকে যেকোন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করা। কিন্তু বেশিরভাগই তার মানষিকতাতে ঔদ্ধত্য থাকে। সকলে নিজেই নিজের মনকে নিয়ে বিশ্লেষন করে, কিন্তু মুখোমুখি হতে গেলে তাতে আর তার সুখ থাকে না।

আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা হতে দেখেছি- পৃথিবীর ১০ শতাংশ বাহুবলে কিংবা ক্রোধ বলে কখনোই প্রকৃতির সাথে খাপ খায় না (এরা সমাজের আবর্জনা, সমাজ সংসার এদের জন্য দূষিত হয়। অবশ্য একটা দিক থেকে এদের প্রয়োজন, দিকটা হল- জীবনের বোধদয়। এদের জীবনকে বিশ্লেষন করেই সকলে সত্য আশ্রয়ে প্রস্তুত হয়।), ৪০ শতাংশ লোককে জোর করে বাস্তবতার মুখোমুখি করাতে হয়, ৩০ শতাংশ লোক দায়ে পড়ে শেখে, ১০ শতাংশ লোক বুঝেশুনে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হয় আর ১০ শতাংশ লোক স্বয়ংক্রিয় প্রকৃতিক সাথে সংযুক্ত থাকে।

ছিঃ থু, থু, থু.....

কেউই হিংসা-দ্বেষ কিংবা ক্রোধ বিবর্জিত নয়, ক্ষমতার তরণী সৎ উদ্দেশ্যে পালন অতি শক্ত। না‘হলে ধর্মের বাহানায় প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হয়ে মানুষের শীরচ্ছেদ কি করে সম্ভব?

ধীক্কার জানাই ধর্মের নামে ভন্ডামী করা সে #সুন্নীজংগীগোষ্টী কে, যারা মুরতাদ বলে প্রকাশ্য দিবালোকে মনুষ্যত্বকে বলি করে। অসহায় ক্ষমতাহীন আধিবাসীদের শীরচ্ছেদ করে।

ছিঃ থু, থু, থু.....

শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী

মানুষের জীবনকে পরিপূর্ণতায় ভরিয়ে দিতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু জীবনের জন্য সে শিক্ষা কোন গুরুত্বই বহন করে না, যে শিক্ষা হতে মানুষ সৎ ইচ্ছা বা সদ্ আচারণ রপ্ত করতে ব্যর্থ হয়।

প্রতিটি শিক্ষাই মিথ্যা আচার-ব্যবহার তুলে ধরে, সমগ্রকে জানতে শেখায়, জানতে শেখায় মিথ্যা থেকে পরিত্রাণের উপায়। কিন্তু যে বিদ্বাণ ব্যক্তি বিদ্যাশিক্ষার সব্বোর্চ্চ স্তরে উপণীত হয়েও মিথ্যা আচারণটাই শুধু রপ্ত করতে শেখে অর্থ্যাৎ বিদ্যাশিক্ষার সত্যিকারের উদ্দেশ্য হতে বিচ্যূত হয়, তার শিক্ষার পরিব্যপ্তি কখনোই জনহীতকর কাজে সংযুক্ত হয় না। বরং দিনকে-দিন তার পরিব্যপ্তি সমাজকে কলূষিত করে, দেশকে দূষণ করে, মনুষ্যত্বকে বিলোপ করে। তাই শিক্ষা অর্জনের পূর্বে শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী।