সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

গানঃ পদ্মা নদীরে……..


পদ্মা নদীরে, পদ্মা নদীরে……
ভেঙ্গে দিসনা আমার আশার দ্বার
তোর মায়া-মমতায় ঘেরা, আমার এই সংসার।

আমার রাত পোহায় তোর কূলে
নদীরে……ও পদ্মা নদীরে, ও…….নদীরে
আমার দিনকাটে তোর ছলে…….
এই জীবনযুদ্ধের নাও বেড়ে চলে, তোর বুকে পাল তুলে
সেই তুই যদি পাশে না থাকিস, দিক-বিদিক মোর আঁধার
ভেঙ্গে দিসনা আমার আশার দ্বার
তোর মায়া-মমতায় ঘেরা, আমার এই সংসার।

গানঃ সোনার জগতে………


সোনার জগতে, আকাল পড়েছে মানুষ আপন স্বভাবে
হায়রে; মনুষ্যগুন নাই আচারে, বেদ-বিচারের অভাবে।

মানুষ মানে মনুষ্যরূপী, নাইরে কোন হুঁশ
আপন স্বার্থ, আপন লয়, আপন তরে ঢুঁশ
হায়রে; পরগাছা যে আপনায় জড়ালো, দেখে না জ্ঞান বিভাবে।

গানঃ প্রাণ পাখিরে খোঁজ কি করে…


প্রাণ পাখিরে খোঁজ কি করে
খোঁজ পাওয়া তাঁর এত সহজ নয়।
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে তাঁর গমনাগমন,
নয়দ্বারে তাঁর সঞ্চালন
পঞ্চভুতে তাঁর অবস্থান
সে যদি না জানা হয়।

ত্রিলোকে তার ত্রিকাল দর্শন
যে পালকে হয় তাঁর পালন
যদি না থাকে তাকে স্মরণ
পাওয়া দূর্বিষহ।

গানঃ আজি বৃষ্টি ঝরছে অঝরে


আজি বৃষ্টি ঝরছে অঝরে
আমার মনের নিকুঞ্জ বনে
জানি দেখা হবে না প্রিয়া
আজি তোমার সনে।

উৎফুল্ল মন নিয়ে তুমি
গেলে বাসর সাধনে
প্রেমের দহণ জ্বালায় আমি
মরি আজ ক্ষনে-ক্ষনে।

গানঃ কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়


কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়
ও প্রিয় মোর, এমন রজনী
যায় কেটে দেখে-দেখে, নয়ন ভরা স্বপ্ন মেখে
চলে দিবস গুনি।

এইযে, আমার স্বপ্ন ভেলা, চলে খেলায় ঢেঁউয়ের তালে
মন উতালে চলে নীলে, তব সুর শুনি।
কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়
ও প্রিয় মোর, এমন রজনী।

গানঃ নদীর বুকে বসত আমার

নদীর বুকে বসত আমার, বুঝলনারে নদী
তাইতো আমি জনম দুখী, কষ্ট নীরবধিরে, (কষ্ট নীরবধি)।

স্বপ্ন দেখে নদীর ঢেঁউয়ে, বাঁধি প্রথম ঘর
সে ঘর আমার ভেঙ্গে গেল, পাথারের ভিতররে, (বুঝলনারে নদী)।

করালস্রোতে নদীর ঢেঁউ, মোহনায় মিলায়
তলায়ে গেল আশা আমার, অতল নেশায় রে, (বুঝলনারে নদী)।

গানঃ এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে

এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

ত্রিভুবণে এত মায়ায় আর, জড়াবে আমায় কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

দরদীয়া খুঁজে, দরদী ঐ মন, আমি মায়ের আঁশে
পথ ভেসে যায় নয়ন জলে আমার, মা না আসে কাছে।।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

অব্যক্ত প্রতিশোধ

সে অনেকদিন আগেকার কথা, মানে আমার দাদার আমলের কথা। সেদিনকার সময়ে ফজর মিয়া নামে এক ব্যাক্তি ছিলেন বেশ জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন। তো একদিন ফজর মিয়া বাড়ি যাচ্ছেন, বাড়ির রাস্তায় পৌঁছতেই দেখেন ফজর মিয়ার ছোটভাই মোহন মিয়া হনহন করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ভাইকে এভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে ফজর মিয়া তাকে থামালেন, আর জিজ্ঞাসা করলেন কিরে কই যাচ্ছিস? জবাবে মোহন মিয়া বলল- বাড়ি যাচ্ছি। ফজর মিয়া বললেন- বাড়ি যাচ্ছিস মানে? খাওয়া-দাওয়া করে যা। বলে রাখা ভালো ফজর মিয়া আর মোহন মিয়ার বাড়ি হতে দেড়ক্রোশ দূরে ছিল।

যেখানে আমার ডুবে যায় সবি

সন্ধ্যে সদ্য ফোঁটা হে মালতী
আজ যেমন তুমি তেমন আমি
নিরবে লালন করা প্রেমসিন্ধু‘তে
উছলে ওঠা ঢেঁউয়ে ডুবি।

আমি বলতে পারিনি তাকে
তোমার মতো করে সৌরভ বিলিয়েছি
বুঝেছি সে বোধহয় আমায় বোঝে
কিন্তু নক্ষত্র যেদিন ক্ষসে গেল
সেদিন বুঝলাম তার ছল্-ছল্ চোখে
অন্য কারো অপেক্ষার প্রেমসিন্ধু
যেখানে আমার ডুবে যায় সবি।

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

অথৈই

অথৈই অসহায় হয়েও কাঁদে না, পথের পাড়ে অন্ধকার যেখানে জমাট বাঁধে; সেখানে সে থামে।
অথৈই কাঁদতে পারে না, ধুমড়ে-মুছড়ে পড়া হৃদয় ফেঁটে চৌচির হয়, কিন্তু কান্নায় হালকা হয় না। জীবনের নিরূত্তাপ বাসনা তাকে বিঁধে আপন খেয়ালে…

ফুলেরা কাঁদে, পাখিরা কাঁদে, বলে- অথৈই আয় আর একবার; প্রানের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠ খেয়ালী জীবনের সজীব সঞ্জিবনে। অথৈই চুপ যায়। পাহাড়ের কিনারে খাঁজকাঁটায় জলজমায় ভাবান্তর হয়। অথৈই বেলা বাইবার পথ খোঁজে।

জীবন

এতবড় দেহ, তাতে দু‘চারটা বীষফোঁড়া
আর এতেই গিলেছে শীসের সুখ!

বিষিয়ে যাওয়া দেহে মমতার শ্রাদ্ধ হয়
জীবন ভোলানো এই এতটুকু যন্ত্রণার ভোগ,
পুরো দেহটাকে সাক্ষী করে তোলে অসহ্য ক্লেদে।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

জীবন ভূলে

দিন খায়; দিন যায়
বারো মাসে; তের ঘা
চোখ মেলে; চোখ খুলে
স্বপ্ন ঘুছে; জীবন ভূলে।

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

বাতাস বালিকা আর জল

সবুজ শিহরণে মুগ্ধ যে বালিকা; তাকে দেখে দৃশ্যলোকের শীহরণ কল্পলোকের ভাবনায় নিয়ে গেল, ভালোলাগায় মিশে গেল দু‘নয়ন। মাতোয়ারা সে রূপ-রঙে্ সুনীল আকাশে সুখ বিচরণে তাকে ছুঁয়ে দেবার একটু ইচ্ছেয় বাতাস তাকে ছুঁয়ে দিল ষড়ঋতু‘র ইচ্ছেবিলাষে। কখনো তাকে প্রজাপতি ডানার হিল্লোলে চুমি, কখনো ফুলের সৌরভে। স্বপ্নলোকে ছায়াখেলা চুমোয়-চুমোয় ভরে দিল কাললোকের রাত-বিরাত।

বালিকা সে শিহরণ অনুভবে বুঝেছিল!! তাই শিহরিত মনে ছল-ছল চোখে চঞ্চলা হরিণীর সুখে জড়িয়ে
নিয়েছিল। আর বাতাস? সেও মাতোয়ারা হয় প্রেম সিংহাসণে সম্রাট হয়ে। সে থেকে বালিকার মুখে সুখ জড়ানো স্মিত হাসিতে বার-বার পাগল হয়ে যেত, তার ওষ্ঠধ্বনি তাকে আরো ভাবুক করে তুলত। সে ভেবে-ভেবে ব্যকুল হত, তার দেহের পূর্ণতীথি, ও‘দু ঠোঁটের ঢেঁউ খেলা, কাজল মাখা চোখের তুলি, সুচালো নাকের দুল।বালিকার কোকরানো চুলের দ্যৌলাখেলায় তাই তার মুহূর্ত কেটে যেত একনিমিষে।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

ভয়

দমনীতে বহমান রক্ত কদাকার
পাহাড় পাষাণ ওহে নির্বোধ দূরাচার,

মূ-হাঃ-হাঃ-হাঃ-হাঃ
ওহে হতাভাগা; জীবন তোর অসার
চিহ্ন হবে তোর মুন্ডু, বুঝবি মোর আচার।