বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

প্রদাহ

বিছানা ছেড়ে আজই উঠে এলাম,
শরীর আর মনের যে রোগ
নিত্য প্রদাহে প্রহার করছে
তার নিরন্তর সুখকে বিসর্জন করে
ছেড়ে আসার মতো শক্তি- 

কিংবা মনোবল আমার ছিল না।

সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

জীবন মোদের নর্দমার ফাঁক

জুয়াড়ি নানান চিন্তায়;
সন্মোহনি জুয়ায় টাল
জ্ঞানপাপী ছদ্মবেশে দেয়;
পদে-পদে দাবার চাল।

রসিকজনা রসে টইটম্বুর
রসখসে পথ ভিজে যায়
প্রগতিশীল ছাত্রনেতার পথ
অসহায়ের রক্তে ভেজায়।

ধর্মকর্তার ধর্মবিচার আজ
অন্যসবের সব মিথ্যে অসার
মূর্খজনার গোয়ারনীতিতে
তিল থেকে তাল হচ্ছে আচার।

বুদ্ধিজীবী‘রা আছে সমাজে
বাঁশসুখ তাদের কল্যাণে
হাবাগোবা মোটা মানুষ লাগে
স্বার্থউদ্ধারে প্রয়োজনে।

কিংকর্তব্য বিমূঢ় আমরা
অতশত কি বুঝি?
জীবন মোদের নর্দমার ফাঁক
বিষকচু‘তে ফাঁক বুঁজি।

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

কবিতাঃ মানবতার মুক্তি


অনেক দিয়েছ শক্তি বিধাতা; অনেক দিয়েছ শক্তি
তবু; এ‘ধরা কভু হয়নি সুখের; পায়নি মানবতা মুক্তি।

মানবতা নিয়ে ভেবেছে অনেকে; করেছে অনেকে তার আচর
তবু; শক্তির কাছে নতজানু হয়ে; নামেনি কভু আলোর প্রহর
দিগন্তে-দিগন্ত ছুটে চলেছে সদা; লোভ-কামনা তার প্রাপ্তী;
ক্ষমতার ঝড়ে মানবতা কেঁদেছে; পায়নি মানবতা মুক্তি।

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৩

বাহির-ভিতর

বাহিরে বিস্তৃত যে সুখ মানুষকে অভিভূত করে, তার ভিতরের রূপ দেখতে বেশীরভাগই অপ্রস্তুত।

রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ রেখ চরণ তলে


ভক্তিতে বাড়ে বাসনা কৃপাঙ্কুর বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

অতিভাজন প্রভু আমি ধনমত্তে বলি
লোভ-মদে মত্ত হয়ে নিজস্বার্থে কেবল চলি
এমন প্রয়াস মন থেকে, রেখ প্রভু ধলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকে আমার বাংলা


দিনের ক্লান্তি শেষে ছুঁয়েছি বিশ্রামের বিছানাখানী
আমার দু’নয়নের তন্দ্রাঘুম স্বপ্নে নিল টানি।

ঘুমের প্রথম স্বপ্ন; নিখিলের তরণী
ফুল-ফল-পাখির সাম্রাজ্যে, আমার জননী
আমার মুক্ত নিঃশ্বাস, উচ্ছ্বাসের নীতিমালা
আমার প্রিতী অহংকার এই বাংলা।

কবিতাঃ কোন এক অজানা পরিতাপে


আমি অমানিশায় বাতায়নে বসি
রাত্রির কালো রেখেছি চোখের অঞ্জলিতে
তারারা নির্গুমচোখে ছিলো তাকিয়ে
স্মৃতির ভ্রুকুটিতে….
কোন সে আড়ালে বসে লক্ষীপেঁচা
ডাকছে মনের ভীতি তাড়িয়ে
আমি ভয়ের ম্লানতা ধরে
আছি পথ চেয়ে….

কবিতাঃ ঘৃনা


কাকে ঘৃনা করব আমি?
এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতীসত্ত্বাকে?
চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি
রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর
ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর
এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের
যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।

কবিতাঃ ভাবনা পরিষ্কার


ছোটমাছ ধুলে বার-বার, বের হয় কাঁদাপানি
মূর্খ্যজনে করলে সেবা, মেলেনা মুখের বানী
অরণ্যে ফলালে ফল, যবে তথাকালে

কবিতাঃ মহত্ত্ব


মহত্ত্ব- সে নয় উন্মেলিত আবেশের সৌহার্দ্য অনুভূতি
মহত্ত্ব- সে নয় বিশাল বিস্তৃতি, আপনার সুকৃতি
মহত্ত্ব- সে হল মহৎ আত্মারধারণ।
নিষ্কোমল পদ্মপত্রে শিশিরকণার ঝরণ,
সে উচ্চাশা নয়,নয় আপনার বিস্তরণ
এ’শুধু অপরের হীতকল্যানে আপনার হৃদয় দহণ।

কবিতাঃ প্রাপ্তী

জীবনটা অর্ধনিমগ্ন….
গোধুলি আকাশে হা-হা-কার সুর
বিষন্নতায় মন আহত পাখির ন্যায়
সায়রের গর্জনে দিক-বিদিক হারা।

তবুও;
ঐ পশ্চাৎ’এর ধারস্ত নয় কেহ
সকলেরই সন্মুখে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা

কবিতাঃ সম্ভবনা


ঐ উঁচুতে শব্দশৃঙ্খলে এক মহেন্দ্রতীথি
খালি হস্তে নীরব সায়রে দাঁড়ায়ে অতিথি
দিকভ্রান্ত নয় সে, নয়তো উদভ্রান্ত মাতাল
দিগন্ত শেষে নীলসীমান্ত; আছে সে তাল
ভ্রূকুটি তার বিষ তলোয়ারে
নির্মুক্ত মেঘের টানে
ছুটিতেছে পিছে তার গগনবেধীর রণে।

কবিতাঃ বিনিময়ে

দিবা পরে রাত্রি ঝরে নীলঘন আকাশে
সুন্দর-সুবলীল কন্ঠে মাদল বাজিয়ে, ছড়ায় বাতাসে
কোন কিছুই প্রয়োজন নেই, কোন কিছুর আ্যাখ্যান নেই
তবু; এই ঘটনা ঘটিতেছে প্রতিনিয়ত
পৃথিবীকে করছে সুষম-মন্ডিত।
এর অবদানে !
দিবা ভুমি রাত্রি ঘুমায়ে,  আমরা করছি কি?
সবাইকে আছি ভুলে,নিয়ে স্ত্রী-পুত্র-ঝি।

কবিতাঃ দুনিয়া

দুনিয়াটা খড়ের ঘর!
কখনো হেলেধুলে পড়ে, কখনো করে মর্মর
কখনোবা একদিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে, কখনো হতাশায় ঝরঝর
কখন জানী ভেঙ্গে পড়ে ঘর….
দুনিয়াটা খড়ের ঘর।

কবিতাঃ আপনার দহন সুখ


আকাশটাকে যায়না ছৌঁয়া, যদিনা মাটি চায়
ক্ষুদ্রপ্রয়াস না ত্যাগিলে বৃহৎ যায় বৃথায়
তীর চলে অগ্রপথে ধ্বাক্কায়ে পিছপথ
নানানজনে নানানভাবে দিতেছে অভিমত
সব মতই ঠিক জানী তবু; বিবেচনা আপনার
যে পথ আপনার ভাব যাও সে দ্বার।