সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

রাজনীতি ও জনতা

তখনও তারা জনগনের রাজনীতি করত এখনও তারা করছে
তখনও ধর্মের বুলিতে মানুষ মজাত এখনও অনবরত মজাচ্ছে
তখনও পেটুয়া বাহিনী দিয়ে নির্যাতন চলত এখনও চলছে সমান তালে
তখনও রক্ষিবাহিনীর হাতে ক্রসফায়ার হত এখনও হচ্ছে সদল বলে
তখনও অসহায় নারীদের ধর্ষন চলত এখনও চলছে পথে-ঘরে
তখনও ঘরে-ঘরে লুটপাট হত এখনও হচ্ছে তা অকাতরে
তখনও বিপক্ষ গুম হত এখনও হচ্ছে নিত্যদিন
তখনও জনতা পুড়ত এখনও পুড়ে হচ্ছে লীন
তখনও অমানবিকভাবে খুন হত এখনও হচ্ছে পথে-পথে
তখনও সংখ্যালঘুর উচ্ছেদ চলত এখনও চলছে বিধান মতে
তখনও তাদের সিংহাসন ছিল এখনও রয়েছে তা তাদেরই দখলে
তখনও সিংহাসনের জন্য মরত জনতা এখনও মরে সাফ সুদাসলে।

তবে স্বাধীনচেতা হবার লাভ কোথায় সে বল?
কেন ভেবে-ভেবে অযোগ্য অথর্বদের জন্য কান্না করে চল?
আরে এ সমস্যা ত নেতার নয়
সমস্যাটা মগজহীন অথবা পঁচা মগজের জনতার
এরা মানে; বুঝে, তবু কাজে এদের তত্ত্বসার
মগজ পচনে এরা পড়ে-পড়ে কাঁদে,
লড়তে জানে না
মাথাব্যথার যন্ত্রনায় মাথা কেটে ফেলে
বুঝতে শেখে না

সমস্যা ঘেঁটে-ঘেঁটে তলানি তে আসি
দেখী নিথর ক্রিয়াহীন দেহের জনতাই এইসব চায়
তারা চায় কেবলই চায় নিজেদের বলি দিয়ে বুলি রাখতে
ধর্মের বুলি আর লোভের মাদুলির দুই তাবিজই গলায় ঝুলাতে

সে সুযোগ কি আর হাতছাড়া করে নেতা?
সেযে; রাজনীতি করে, তার চাই ক্ষমতা কেবল ক্ষমতা...
দূর্বল আগাছাগুলো যতই কেটে-ছেটে রক্তাক্ত হোক না কেন
এরা যে বারবার জন্মাবে এ ত তারা জানে,
তারা অগাছা সাফ করে প্রতিনিয়ত হাসি-ঠাট্টা-প্রহসণে।

জনতা জনে-জনে যা দেখি তাতে কেবল এটাই ভাবি তারে-
পথে পড়া মরা একদিনও হাহাকার না করে থাকতে পারে না বলে
ডুরিয়া-ডুরিয়া অভিশাপে কেঁদে নিজেদের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন