রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ রেখ চরণ তলে


ভক্তিতে বাড়ে বাসনা কৃপাঙ্কুর বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

অতিভাজন প্রভু আমি ধনমত্তে বলি
লোভ-মদে মত্ত হয়ে নিজস্বার্থে কেবল চলি
এমন প্রয়াস মন থেকে, রেখ প্রভু ধলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকে আমার বাংলা


দিনের ক্লান্তি শেষে ছুঁয়েছি বিশ্রামের বিছানাখানী
আমার দু’নয়নের তন্দ্রাঘুম স্বপ্নে নিল টানি।

ঘুমের প্রথম স্বপ্ন; নিখিলের তরণী
ফুল-ফল-পাখির সাম্রাজ্যে, আমার জননী
আমার মুক্ত নিঃশ্বাস, উচ্ছ্বাসের নীতিমালা
আমার প্রিতী অহংকার এই বাংলা।

কবিতাঃ কোন এক অজানা পরিতাপে


আমি অমানিশায় বাতায়নে বসি
রাত্রির কালো রেখেছি চোখের অঞ্জলিতে
তারারা নির্গুমচোখে ছিলো তাকিয়ে
স্মৃতির ভ্রুকুটিতে….
কোন সে আড়ালে বসে লক্ষীপেঁচা
ডাকছে মনের ভীতি তাড়িয়ে
আমি ভয়ের ম্লানতা ধরে
আছি পথ চেয়ে….

কবিতাঃ ঘৃনা


কাকে ঘৃনা করব আমি?
এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতীসত্ত্বাকে?
চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি
রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর
ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর
এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের
যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।

কবিতাঃ ভাবনা পরিষ্কার


ছোটমাছ ধুলে বার-বার, বের হয় কাঁদাপানি
মূর্খ্যজনে করলে সেবা, মেলেনা মুখের বানী
অরণ্যে ফলালে ফল, যবে তথাকালে

কবিতাঃ মহত্ত্ব


মহত্ত্ব- সে নয় উন্মেলিত আবেশের সৌহার্দ্য অনুভূতি
মহত্ত্ব- সে নয় বিশাল বিস্তৃতি, আপনার সুকৃতি
মহত্ত্ব- সে হল মহৎ আত্মারধারণ।
নিষ্কোমল পদ্মপত্রে শিশিরকণার ঝরণ,
সে উচ্চাশা নয়,নয় আপনার বিস্তরণ
এ’শুধু অপরের হীতকল্যানে আপনার হৃদয় দহণ।

কবিতাঃ প্রাপ্তী

জীবনটা অর্ধনিমগ্ন….
গোধুলি আকাশে হা-হা-কার সুর
বিষন্নতায় মন আহত পাখির ন্যায়
সায়রের গর্জনে দিক-বিদিক হারা।

তবুও;
ঐ পশ্চাৎ’এর ধারস্ত নয় কেহ
সকলেরই সন্মুখে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা

কবিতাঃ সম্ভবনা


ঐ উঁচুতে শব্দশৃঙ্খলে এক মহেন্দ্রতীথি
খালি হস্তে নীরব সায়রে দাঁড়ায়ে অতিথি
দিকভ্রান্ত নয় সে, নয়তো উদভ্রান্ত মাতাল
দিগন্ত শেষে নীলসীমান্ত; আছে সে তাল
ভ্রূকুটি তার বিষ তলোয়ারে
নির্মুক্ত মেঘের টানে
ছুটিতেছে পিছে তার গগনবেধীর রণে।

কবিতাঃ বিনিময়ে

দিবা পরে রাত্রি ঝরে নীলঘন আকাশে
সুন্দর-সুবলীল কন্ঠে মাদল বাজিয়ে, ছড়ায় বাতাসে
কোন কিছুই প্রয়োজন নেই, কোন কিছুর আ্যাখ্যান নেই
তবু; এই ঘটনা ঘটিতেছে প্রতিনিয়ত
পৃথিবীকে করছে সুষম-মন্ডিত।
এর অবদানে !
দিবা ভুমি রাত্রি ঘুমায়ে,  আমরা করছি কি?
সবাইকে আছি ভুলে,নিয়ে স্ত্রী-পুত্র-ঝি।

কবিতাঃ দুনিয়া

দুনিয়াটা খড়ের ঘর!
কখনো হেলেধুলে পড়ে, কখনো করে মর্মর
কখনোবা একদিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে, কখনো হতাশায় ঝরঝর
কখন জানী ভেঙ্গে পড়ে ঘর….
দুনিয়াটা খড়ের ঘর।

কবিতাঃ আপনার দহন সুখ


আকাশটাকে যায়না ছৌঁয়া, যদিনা মাটি চায়
ক্ষুদ্রপ্রয়াস না ত্যাগিলে বৃহৎ যায় বৃথায়
তীর চলে অগ্রপথে ধ্বাক্কায়ে পিছপথ
নানানজনে নানানভাবে দিতেছে অভিমত
সব মতই ঠিক জানী তবু; বিবেচনা আপনার
যে পথ আপনার ভাব যাও সে দ্বার।

কবিতাঃ বড় ইচ্ছে করে

বড় ইচ্ছে করে........
মনটাকে উড়িয়ে দেই পবনের পুলকিত পরশে
সাগরের উত্তাল ঢেঁউ খেলায়, দিগন্ত ছৌঁয়া নীল গগনের প্রত্যাশে।


মনে ইচ্ছে করে........
শয়নপাতি ঐ বটের ছায়ায়, যেথায় শান্ত আশ্রম আছে
আমি শুঁয়ে-শুঁয়ে ভাবব, ঐ বটের পাতায়-ডালে পাখিরা কেন নাচে?


কবিতাঃ ভাগ্যের তিরোধান

শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে
আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি
এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ।
আমার মৃত্তিকা শাপ, অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ
জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ
সব থরে-থরে সাজিয়েছি
আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।


কবিতাঃ প্রানহীন অচলদেহ হারালে তার অবস্থান


তার চোখে চোখ পড়িতেই গুলালো আমার দিক-তাল
হলাম আমি মাতাল।
আমার মাতলামি নয়তো পেয়ালার পরশ পানে
একচুমুকে মাতাল হওয়া, ঘোর কাটিলে আবার চাওয়া
দিক-বিদিক চলা বর্ণিল মনে।

কবিতাঃ ব্যর্থতা


মানুষের বিশ্বাসী রক্তে মিশেছি আজ
দিন-রাত আরাধ্য দেবতার দুয়ারে হাত পেতেছি
যেন দু'মুঠি ভরাতে পারি অশ্রু আর্শিবাদে।
তার নিদ্রিত জীবন জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় কত রাত ঘুমাই নি
জীবন অনিদ্রার বন্ধু হয়ে গেছে