আমি অমানিশায় বাতায়নে বসি রাত্রির কালো রেখেছি চোখের অঞ্জলিতে তারারা নির্গুমচোখে ছিলো তাকিয়ে স্মৃতির ভ্রুকুটিতে…. কোন সে আড়ালে বসে লক্ষীপেঁচা ডাকছে মনের ভীতি তাড়িয়ে আমি ভয়ের ম্লানতা ধরে আছি পথ চেয়ে….
কাকে ঘৃনা করব আমি? এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতীসত্ত্বাকে? চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।
ঐ উঁচুতে শব্দশৃঙ্খলে এক মহেন্দ্রতীথি খালি হস্তে নীরব সায়রে দাঁড়ায়ে অতিথি দিকভ্রান্ত নয় সে, নয়তো উদভ্রান্ত মাতাল দিগন্ত শেষে নীলসীমান্ত; আছে সে তাল ভ্রূকুটি তার বিষ তলোয়ারে নির্মুক্ত মেঘের টানে ছুটিতেছে পিছে তার গগনবেধীর রণে।
আকাশটাকে যায়না ছৌঁয়া, যদিনা মাটি চায় ক্ষুদ্রপ্রয়াস না ত্যাগিলে বৃহৎ যায় বৃথায় তীর চলে অগ্রপথে ধ্বাক্কায়ে পিছপথ নানানজনে নানানভাবে দিতেছে অভিমত সব মতই ঠিক জানী তবু; বিবেচনা আপনার যে পথ আপনার ভাব যাও সে দ্বার।
শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ। আমার মৃত্তিকা শাপ, অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ সব থরে-থরে সাজিয়েছি আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।
মানুষের বিশ্বাসী রক্তে মিশেছি আজ দিন-রাত আরাধ্য দেবতার দুয়ারে হাত পেতেছি যেন দু'মুঠি ভরাতে পারি অশ্রু আর্শিবাদে। তার নিদ্রিত জীবন জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় কত রাত ঘুমাই নি জীবন অনিদ্রার বন্ধু হয়ে গেছে