শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ বিসর্জন


ভাগ্য পরাহত !
অজন্মা পাপের পরিক্রমায় বিচরণ
কখনো যেন এই শৃঙ্খল ভাঙ্গার নয়
বৃহৎ’এর পদতলে পৃষ্ঠমান ক্ষুদ্রপ্রাণ ।
কিসের ধৈর্য্যধারন ? নিরন্তন প্রদাহ যেখানে অবিরত !

কবিতাঃ উদাস মনের কথন


কে হে অলক্ষ্যরাগী, ডাকিছ আনমনে উদাসে?
সবুজ-শ্যামলাঘেরা মাঠে, ডাকিছ নীলঘন আকাশে
প্রকাশে প্রাপ্তি আমার আনমনা ছাহনি
অলক্ষ্য কোন যমুনায় বাহিব তরণী ।
কুহু পুস্পবনে, বসন্তেরই বার্তা আনে

কবিতাঃ খুকির শান্তনা


ছোট খুকিকে কোলে নিয়ে মা
চুমু খায় গালে
কাঁদেনা মা কতো ভালো
হেঁটে-হেঁটে বলে
ঐযে দেখ মা, কত্তো সুন্দর
উঠেছে আকাশে চাঁদ

কবিতাঃ সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে


গানের পাখি, গেয়ে যাও আজ আকাশে-বাতাসে
সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে।
মানবতা আজ যেথায় বন্দিতের বঞ্চণা
শিকলে জড়ানো পা,  কষ্টের মন্ত্রণা
সে শিকল যাক ভেঙ্গে, জয়-জয়-জয়াকারে

কবিতাঃ আলোকের মহিমার আঁশে


যখন শান্ত হৃদয়ে অশান্ত করে খেলা
অস্থিরতায় গড়িয়ে যায় বেলা
তখন আমি অর্ধনিমগ্ন ছায়াপথে
ক্রান্তির লগণে পড়ছি ভূমিতে লুটে।
আকাশবেশী গগণ তাঁরা ছৌঁয়
আমি বসে নীরব ধাঁধাঁর ফাঁদে
স্তম্ভিকতা নেই যে, নিজের আর
নেশা মেটে একপেয়ালা মদে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকের রাজকুমারীর স্বর্ণপুরী


এ আমার অজান্ত ভাবাবোধে জড়ানো অভিশপ্ত বাসনা নয়
বন্ধু; হারিয়েছি তোমায় শিহরিত সে বর্ষায়।
উপকূলে নোনাফেনায় নোনা ক্ষরস্রোত তুলে যেদিন
অসম প্রতিকূলে দিল দরিয়ায় দিয়েছিলে হানা
ভ্রান্ত-ভাবনায়, নিমগ্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রতিরোধে তাই
সহস্র-যোজন পথে বিবাগীর বিসর্জন?

কবিতাঃ সুখলতা


সুখলতা; তুমি চঁন্দ্রবাসরে দ্বীপ্তচোখে
তারার জোয়ার দেখেছ?
সবুজ মাঠে ধেণু চারণে
অবুঝ সুখে ভেসেছ?
তুমি নীল গগণে বসন্ত ধাঁধাঁনো
ফুলের সৌরভ ছুঁয়েছ?
তুমি নিজের মাঝে লজ্জাবতীর
লাজুক আবরণ পেয়েছ?

কবিতাঃ আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়


আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়, রক্ত নেশা
অন্ধকারের নাই দিশা আজ, শুধু তৃষা।
ক্ষুরধারার ক্ষুদার্ত তরবারি চলছে বেশ, অহনীশি
চারিদিক ধ্বনিত কুরুক্ষেত্র ভয়, সর্বনাশী।

কবিতাঃ বাজা তোর প্রলয় বিষাণ


কতটা শৃঙ্খল জীবন আমাদের !
বাংলার চলিত রাষ্ট্রযন্ত্রে আমরা কতটা পরাধীন
৪০ বছরের স্বাধীনতা অন্তরে লালন করেও
আমরা আজ ৫ বছরের পক্ষাঘাত রোগে কতটা অসহায়,
জীবন-জীবিকা আর আসক্ত ক্ষুদার যন্ত্রনায়, আমরা কত নিরুপায়।

কবিতাঃ আমাদের পরিচয়


শ্রমিকরা কি তবে মানুষ নয়?
হ্যাঁ; ঠিক তাই,
তারা সকলে সহনশীল গাধা
তাদের কাঁধ-মাথা বইবার জন্য ভাই।

কবিতাঃ বলদ মরুক শোকে


পেট ফুলেছে, পেট বেড়েছে
হয়েছে মোটা চাম,
খা শালার সোনার ছেলেরা
বলদের কি আর দাম?
হুজুগে বাঙ্গালী, থাকতে কাঙ্গালী
স্বপ্ন ভরা চোখ

কবিতাঃ আমি অন্ধকারের মানুষ


আমি অন্ধকারের মানুষ
অন্ধকার আমার বড় বেশী আপন
তাই মাতৃগর্ভ ছিল আমার সবচাইতে সুখের স্থান।

যেদিন আমি প্রথম পৃথিবীর আলো দেখী
সেদিন ভয়ে আমি আত্কে উঠেছিলাম
একি! এত ঝলসানো আলো কেন এখানে ?
ভয়ে চিৎকারে আমার নয়ন অশ্রুসজল হয়েছিল।

কবিতাঃ অশ্রুহীন দৃঢ়তা

কেন এত হারানোর ভয় হয় আমার?
কি আছে এত যা ক্রমন্নয়ে আমাকে দাওয়া করে
ভয় দেখায় এই হারাবে বলে?

জীবন থেকে বড় চাওয়া, সে আমার মা
তিনি হারিয়ে গেছেন, ঐ ওখানে, ঠিক ওখানে

কবিতাঃ পৃথিবীর পাপ প্রায়শ্চিত্ত


আশ্রিত আমরা নরলোকে!
নোংরা নখ চিবুই,
বিশেষনে মিলাই ডানা
পালক পবন ভিবুই।

গদ্যশৈলীর শৃঙ্খল ভাঙ্গে
কাব্য কর্কশ প্রহসনে,
ঘন-সবুজ পল্লববিহার
পাংশু মেঘের আবরণে।

কবিতাঃ মা তোমার মমতার দাম কত?


[মাতৃবন্দনাঃ
মস্তক আজ নত মাগো তোমার শ্রীচরণে
তোমার মতো এমন মমতা কে দিয়েছে কোনখানে,
সহস্রযোজন স্বপ্নবিলাষ আমি সঁপিবো ভাবী চরণে
তবু কি কাটিবে ঋণ, মোহিত অজ্ঞজনে!
এইযে, আমার চরম অজ্ঞরূপ