রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ বড় ইচ্ছে করে

বড় ইচ্ছে করে........
মনটাকে উড়িয়ে দেই পবনের পুলকিত পরশে
সাগরের উত্তাল ঢেঁউ খেলায়, দিগন্ত ছৌঁয়া নীল গগনের প্রত্যাশে।


মনে ইচ্ছে করে........
শয়নপাতি ঐ বটের ছায়ায়, যেথায় শান্ত আশ্রম আছে
আমি শুঁয়ে-শুঁয়ে ভাবব, ঐ বটের পাতায়-ডালে পাখিরা কেন নাচে?


কবিতাঃ ভাগ্যের তিরোধান

শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে
আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি
এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ।
আমার মৃত্তিকা শাপ, অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ
জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ
সব থরে-থরে সাজিয়েছি
আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।


কবিতাঃ প্রানহীন অচলদেহ হারালে তার অবস্থান


তার চোখে চোখ পড়িতেই গুলালো আমার দিক-তাল
হলাম আমি মাতাল।
আমার মাতলামি নয়তো পেয়ালার পরশ পানে
একচুমুকে মাতাল হওয়া, ঘোর কাটিলে আবার চাওয়া
দিক-বিদিক চলা বর্ণিল মনে।

কবিতাঃ ব্যর্থতা


মানুষের বিশ্বাসী রক্তে মিশেছি আজ
দিন-রাত আরাধ্য দেবতার দুয়ারে হাত পেতেছি
যেন দু'মুঠি ভরাতে পারি অশ্রু আর্শিবাদে।
তার নিদ্রিত জীবন জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় কত রাত ঘুমাই নি
জীবন অনিদ্রার বন্ধু হয়ে গেছে

কবিতাঃ সত্যি আমার যে তোমাকে রক্ষা করার কোন উপায় জানা নেই


তুমি স্থিরতা চাও?
তবে কেন এই অস্থির লোককে ডাকলে?
যে অন্ধকারের তলায় হাতায়ে চলছে
যার হাতে, মনে কালি জমে-জমে অন্তরকে নিষ্প্রভ করে দিয়েছে
কেন তাকে আগলে ধরলে?

কবিতাঃ এই হল ছুটি বুঝি মমতার দিন


ক্ষুদ্র গ্রহ-গ্রহান্তরে, নক্ষত্র-নক্ষত্রে রণ,
এক বিভব সহন মায়া
পুঞ্জিভূত স্বপ্নে দাহ, বিড়ি পোড়া যৌবন।
সুখ অন্তঃসহন কাল
গর্ভে গোত্রহীন, জাতী-জ্ঞাতীহীন গর্ব অবস্থান

কবিতাঃ ভালোবাসার অনুভব


জীবনের এ’এক কঠিন সময়
ভালোবাসার অনুভব ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শীরায়, উপশীরায়
বৃষ্টির মত তার ছুঁয়ে যাওয়া, তাকে ছুঁয়ে দেখার ব্যাকুলতায়
এক শিহরণের ঝড় বয়ে যায় প্রাণে।

কবিতাঃ আমি তোমাকে অনুভব করি আজো


প্রিয়,
আমি তোমাকে অনুভব করি আজো
এই বুকের পীঞ্জরে অদৃশ্য মায়ার টানে।
চাইলেই এই টান তুমি চোখ মেলে দেখতে পারতে
পারতে আমার বুকে হাতদিয়ে স্পন্দন থেকে ঠিকরে নিতে
কারন; এ যে, উত্তারাত্তরকালের সূর্যের আলোর মত
প্রকৃতির মায়ায় সে চোখমেলে তাকিয়ে ছিল,
কিন্তু; তুমি তা করলেনা.....

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?


প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?
তুমি কি ভুলে গেছ?
ঐ পাহাড়ের বুকচিরে আমি কেমন করে তোমাকে কাছে টেনেছি।
ঐ সাগরের ঢেঁউ যখন তোমাকে তার গহ্বরে লুকাতে চেয়েছে
তখন ঐ গহ্বরকে স্থল করেছি,

কবিতাঃ দেহ আঙ্গিয়া ভুমিতে লুটিবে


ঐ রক্তচক্ষু কর নিচু, ভেবনা দূর্বল এমনতর
আমাদের রক্তে স্বাধীন শোর বড়
দূর্বলভাবে আছি বলে দূর্বল এত ভেবনা
আমরা শান্তির কপোত গগণে উড়িয়ে হয়েছি শান্তমনা।

কবিতাঃ নারী পদবিলাস-১


যদি মনটাকে জান, যদি পৃথিবীটাকে চেন
চেয়ে দেখ তোমার চারিদিক, আকাশ-বাতাস আলোক
সবখানে টানিছে পুরুষ, মুগ্ধধ্যানে নারীলোক।

যদি কাননে তোল ফুল, যদি উল্লাসে যাও সাগরকূল
আবেশের মনকে জিজ্ঞাসা কর, কিসের বিচরণ?
সে‘যে, অন্তরেরপীড়া নারীর আর্তদহণ।

যদি ব্যথায় মন ভাঙ্গায়, যদি বোধ কিছুতে না পায়
দ্বীধাবিভক্ত কৌলাহলে মনটাকে টান…..
দেখবে নারীর সুদর্শনীয় উল্লাস, আশা ব্যঞ্জণ।

এমনি পরতে-পরতে ছড়িয়ে আছে, নারীর পদবিলাস
তাইতো; নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো বা প্রিয় অভিলাষ।

কবিতাঃ জীবনের হিসেব


অতৃপ্তির আকাঙ্খায় ডুবে মরে যাই…
জীবনে বড় আশা ছিল
সন্তানদের মানুষ করে থাকব বড় সুখে
সুখ আমার ডুবে গেল অস্তঃরবির ফাঁকে।
জীবন আমার আজ সম্পূর্ন ব্যর্থ
ক্ষুদে যে পিপাসা ছিল,

কবিতাঃ ভালোবাসা


ভালোবাসা- শীরোনামহীন পথে, একরাশ কাঁশফুল
ভালোবাসা- অশান্ত হৃদয়ে অচেনা পথিকের ভুল
ভালোবাসা- ছন্দ ছৌঁয়া, রাগিনীর কিছু রাগ
ভালোবাসা- শেষ বিকেলের প্রজাপতির পরাগ

কবিতাঃ নারী পদবিলাস


নারী মানে; আছে স্বামী, আছে বন্ধু-ভাই
নারী মানে; সীমানার অধ্যাদেশ কর্মতৎপরতায়।
নারী মানে; বসুমতির মত সহ্য সন্তানের যন্ত্রণা
নারী মানে; স্বপ্ন চোখে বোনা, সন্তান করে বাসনা।
নারী মানে; এক গৃহিণী, শৃঙ্খলিত এক ঘর

কবিতাঃ সন্তানের সুখ


সবার অন্তরের দুঃখ               ললাটে বিস্মৃতির রুক্ষ
           ঘুচিবে তখন, মা আসবে যখন
কান্না হাসি হবে              বাবা আসিলে তবে
           তিনি করেন মোদের ভরণ-পোষণ